আমি মিঠল জনি। আজ আমি আপনাদের গ্রিসের দ্বীপপুঞ্জগুলিতে আমার ভ্রমণের গল্পটি বলতে যাচ্ছি,
আমার প্রিয় ভ্রমণের মধ্যে একটি করতে আমি আমার বন্ধু জর্জকে নিয়ে যাচ্ছি। গ্রীস সম্প্রতি তাদের আইন পরিবর্তন করেছে এবং গ্রীকরা তাদের আন্তর্জাতিক চালকের লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ি ভাড়া দেওয়ার অনুমতি দেয় নি। এমন গ্রিস কিছু করার জন্য আমরা সেই জাচ কেন্টে ছিলাম।
আমি এক ধরণের ধাক্কা খেয়েছিলাম তবে আমরা একটি বিকল্প খুঁজে পেয়েছি এবং আমরা নৌকা ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা দু’জনই আগে কখনও নৌকা চালায়নি না তবে নৌকার মালিক আমাদের দেখালেন কীভাবে নৌকাটি চালাতে হবে এবং কিছুক্ষণ এর মধ্যেই আমরা তা শিখে গেলাম আর যাত্রা শুরু করলাম।
আমরা প্রথমে ম্যারাথন ইসি নামে একটি দ্বীপে যাত্রা করলাম। এটি প্রায় প্রচলিত দ্বীপের মধ্য একটি। মানে আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না,যে সমুদ্রের এই জলটি কতটা পরিষ্কার ছিল। আমরা সমুদ্রের মাঝখানে চলে গেলাম এবং তারপরে আমরা নিকটবর্তী একটা দ্বীপের দিকে রওনা দিলাম। এটি অবশ্যই আমার প্রিয় অংশ ছিল, কারণ জাকিন্থোস এক হাজার ফুট লম্বা। ছবি তোলার জন্য সবথেকে ভালো একটা জায়গা ছিল। আমরা নৌকাটি নোঙ্গর করেছিলাম । সবকিছুই ভাল ছিল আমি ক্লিফ এবং কোভ দিয়ে কিছু শট পেতে আমার ড্রোনটি উড়ালছিলাম। আমির মোবাইলে চার্জ কম ছিল, তবে আমি আমার ড্রোনটিকে উড়াতে চাচ্ছিলাম কারণ আমি যে মহাকাব্যিক ছবি চেয়েছিলাম তার মধ্যে আমার ৫% ব্যাটারি বাকি ছিল এবং একটি সমালোচনামূলক অবতরণ করা শুরু করল মূলত আমি ল্যান্ডিংয়ের জন্য থামতে পারব না। আমি মাঝপথে এটি ধরার চেষ্টা করেছি কিন্তু ড্রোনটি আমার হাতের ধাক্কা খেয়েছিল এবং এটি সমুদ্রের মধ্যে পড়ে গেল। আমি জলের মধ্যে ড্রোনটিকে খুজছিলাম ভাগ্যক্রমে সেটি পেয়েও গেলাম। বেশী কিছু নষ্ট হয় নি। মেমোরি কার্ডটি নষ্ট হয়নি তাই আমি আমার তোলা সেই ছবিগুলো পেয়েছি। তবে আমার দরকার ছিল সুর্যোঅস্ত যাবার সময় এর ছবি গুলো। যার জন্য আমি সমুদ্র এর মধ্যে দিয়ে আত দূর পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি। অবশেষে আমি সেই ছবিগুলো তুলতে সক্ষম হয়েছিলাম। আমার জীবনের সবথেকে স্মরণীয় ভ্রমণগুলোর মধ্যে এটি একটি কারন আমার প্রিয় ড্রোনটি পানিতে পড়ে গেছিলো আর আমি তা খুজে পেয়েছিলাম।
Leave a Reply